হার্টের অসুখ হলে কিভাবে বুঋবেন?


অনেক ক্ষেত্রে হার্টের ছোটো খাটো কোনো লক্ষন দেখা দিলে আমরা তার বোঋতে চাইনা।

যেমন, মাঋে মধ্যে যদি কারো বুকে ব্যাথা হয় তাহলে এটাকে আমরা গ্যাসের প্রবলেম বলে মুল্য দেইনা এবং ভুলে যাই।

এরকম করলে অর্থাৎ হার্টের কোনো লক্ষন দেখা দিলে তার যদি সমাধান করার চেষ্টা না করি তাহলে সমস্যা আরোও বেড়ে যাবে। চিকিৎসাবিদগন বলে থাকেন, ছেলেদের ক্ষেত্রে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে এই অসুখটির লক্ষন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

এরই মাঝে কিছু লক্ষন হলো,


বুকে ব্যাথা

অনেকসময় দেখা যায় কারো বুকে ব্যাথা হলে সেটাকে হার্টের অসুখ এর লক্ষন সন্দেহ না করে এরিয়ে যান। আর অনেকেই তো নিজেই ঔশধ কিনে খেয়ে ফেলেন। যেটা একদম ঠিক না। আর তাই কখনো বুকে ব্যাথা হলে সেটাকে মোটেই অবহেলা করা যাবেনা।


অধিক নাক ডাকা

কখনে যদি কারো বেশি পরিমানে নাক ডাকার এবং এক্ষেত্রে মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট র মতো কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এটার বড় কারোন হতে পারে হর্টের অসুখ।


দুশ্চিন্তা

দুশ্চিনতা আসলে হার্টের কোনো সমস্যার কারনেও হতে পারে। সবসময় দুশ্চিন্তা মানুষের মানুষিক সমস্যা হতেই পারে না। তবে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হার্টের বড়ো ধরনের সমস্যার কারন হয়ে দারাতে পারে।


কম দম পড়া

আপনার যদি কখনো এরকম হয় যে অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাচ্ছে তাহলে এটার জন্য সাবধান থাকতে হবে যে আপনার ভবিষ্যতে হার্টের অসুখ হতে পারে।


কাশি হওয়া

আপনার যদি সবসময় কাশি হওয়ার সমস্যা থাকে তাহলেও আপনাকে সাবধান হওয়া লাগবে এবং যতটা দ্রুত সম্ভব Heart Specialist  দের সরনাপন্ন হতে হবে।


অলসতা এবং ক্লান্তি

অনেকের অলসতার মাধ্যমে সময় কাটাতে ভালো লাগে। তবে সাবধান, এটা যদি আপনার অভ্যাস হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারন অতিরিক্ত ক্লান্তিতে আপনার হৃদরোগ হতে পারে।


অজ্ঞান হওয়া

হঠাৎ যদি কখনো আপনি কাজের সময় জ্ঞান হারান তাহলে তাহলে আপনাকে এটা ভেবে সতর্ক হতে হবে যে আপনার হার্টের অসুখ আছে। আর কোনো ভাবেই ঝুকি না নিয়ে যতো তারাতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকে কাছে গিয়ে বিস্তারিত যানাবেন।


চোখের সমস্যা অর্থাৎ কম দেখতে পাওয়া

হার্টের অসুখের যতো ধরনের লক্ষন আছে তার মাঝে চোখের সমস্যা থাকাটা অনেকটা গুরুতর। আপনি যদি কখনো চোখে কম দেখতে পাওয়ার কারনে চশমা ব্যবহার করে থাকেন এমনকি এতেও আপনি কম দেখেন তাহলে আপনায় বুঝতে হবে যে আপনার হার্টের কোনোনা কোন ধরনের অসুখ আছে।


মাথার ব্যাথা

আপনার যদি প্রচন্ড মাথাব্যাথা থাকে এবং ঔষধ খেলেই সেরে যায় তাহলে সাবধান হন। কারনে প্রতিদিনের এই প্রচন্ড মাথা ব্যাথা আপনার হার্টের অসুখ হওয়ার লক্ষ্মণ।


বমি ভাব

যদি কারো সবসময় বমি হওয়ার উপক্রম হয়ে থাকে তাহলে তার অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কারন এজন্য মাঝে মাঝে স্ট্রোক বা এমনকি হার্ট অ্যাটাকের কারন দেখা যায়।


শরীরে ব্যথা

এটা স্বাভাবিক যে কখনো এমনিতেই বুকে বা মাথায় ব্যাথা হয়। তবে শরীরের গিটগুলোর ব্যাথ আাপনার হার্টের অসুখ এর লক্ষন হতে পারে।


অতিরক্ত ঘাম

শরীরের অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্টের অসুখ এর অন্যতম একটি লক্ষন। এমনিতেই যদি অস্বাভাবিক ঘাম হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সরনাপন্ন হবেন।


নিয়মহীন পাল্স

হার্টবিট অর্থাৎ পাল্স যদি আপনার অনিয়মিত হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারকে জানাবেন। কারন পাল্সরেট হঠাৎ কমে যাওয়া এবং বেড়ে যাওয়া হৃদরোগের একটি অন্যতম লক্ষন।


শরীর ফুলে যাওয়া

হার্টের অসুখ হলে অনেক সময় শরীরের গিট গুলো ফুলে যায় অর্থাৎ ফ্লুয়িড যমা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাত এবং পায়ের গিটে। এরকম হওয়ার সাথে সাথে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।


হঠাৎ অস্বাভাবিক ওজন বাড়া

ওজন বেড়ে যাওয়াকে অনেকেই অবহেলা করি। তবে আপনার যদি কখনো হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে নইলে ভবিষ্যতে আপনার হার্টে অ্যাটাক বা এধরণের কোনো গুরুতর সমস্যা হতে পারে।

আরও জানুন, উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারনআত্বহত্যা সম্পর্কে ভুল ধারনা

তাহলে আপনি অবশ্যই জানতে পারলেন যদি আপনার হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে কিভাবে বুঝবেন। আশা করছি এমনটা যেনো কারো না হয়।

আজ এ পর্যন্তই, আল্লাহাফেজ।