গতো পোস্টে জানিয়েছিলাম ফাইভার সম্পর্কে সবকিছু। আজ জানবো কিভাবা একটা ফাইভার একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
কাজের ধরনঃ
মুলত ডিজিটাল সার্ভিস কেনা বেচার জন্য একটি দ্বিমুখী (শুধুমাত্র বায়ার এবং সেলার সমন্বয়ে) প্লাটফর্ম হিসেবে ফাইভার প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে- গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, রাইটিং এন্ড ট্রান্সল্যাশন, ভিডিও অ্যান্ড অ্যানিমেশন, মিউজিক এবং টেকনোলজিস, অ্যাডভার্টাইজিং ও বিজনেস সহ অন্যান্য। আর এসব ক্যাটাগরির অধিনে রয়েছে আরো হাজারো রকমের সাবক্যাটাগরির সমাবেশ। উদাহরন সরূপ, গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাঝে রয়েছে লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন এন্ড স্টেশনারি, ফ্লায়ারস অ্যান্ড পোস্টারস, ব্যানারস অ্যাডস, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন অ্যান্ড ক্যারিকেচারস এবং ফটাশপ এডিটিং এর মতো একাধিক কাজ। এভাবে প্রত্যেক ক্যাটাগরির সার্ভিসের জন্যই রয়েছে এরকম অসংখ্য নির্দিষ্ট কাজের সাব ক্যাটাগরি। অর্থাৎ এমন কোনো দক্ষতা সম্পন্ন ব্যাক্তি হয়তো খুজে পাওয়া যাবেনা, যার জন্য ফাইভারে কাজের কোনো ক্ষেত্র নেই।
এবার আসি কিভাবে আপনি ফাইভার এ যোগ দিবেন অর্থাৎ আপনার নিজস্ব একটা একাউন্ট খুলবেন।
ফাইভারে একাউন্ট খোলার কৌশলঃ
- প্রথমে আপনার ওয়েব ব্রাউজারে Fiverr.com টাইপ করে ফাইভারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। সেখানে Navigation bar এ Join অপশনে ক্লিক করুন।
- ক্লিক করার পর একটা পপ-আপ পেজ আসবে যেখানে আপনার একটা Email Address লাগবে। তাছাড়াও ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাস দিয়েও একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। তারপর Continue বাটনে ক্লিক করুন।
- তারপর আরেকটা পপ-আপ পেজ আসবে যেখানে Username, Password বসিয়ে Join বাটনে ক্লিক করুন।
- এর পর আপনি যে Mail address ব্যাবহার করেছেন সেখানে একটা Confirmation Massage যাবে। তখন আপনি মেইল ওপেন করে Active Your Account অপশনে ক্লিক করবেন।
- তৈরি হয়ে গেলো Fiverr.com এ আপনার নতুন একটি একাউন্ট। এরপর আপনার প্রথম কাজ হলো বায়ারদের নজরে পরতে ভালোভাবে Profile Edit করা। কারন আপনাকে বায়ার হায়ার করার আগে আপনার কাজ দেখবেনা, দেখবে প্রথমে প্রফাইল। Profile এডিট করতে আপনার Username এর উপর ক্লিক করে Public profile setting এ যান।
- তারপর একটা পেজ আসবে যেখানে আপনার একটা হাসিমুখে তোলা ছবি Upload করুন। এবং যাবতীয় কাজের পর Save change করুন।
হয়ে গেলো আপনার একটা ফাইভার একাউন্ট। আর আপনার প্রফাইলকে সুন্দর করার দায়িত্ব আপনার। কারন আপনার কাজ পাওয়ার পিছনে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আজ এপর্যন্তই। আগামি পোস্টে আমরা জানবো কিভাবে ফাইভার গিগ তৈরি করবেন?
Thanks for Reading...
0 Comments